শাল্লা সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
পঞ্চম ধাপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রণজিৎ কুমার দাস। গত ১৩ জানুয়ারি রনজিৎ কুমার দাস স্বাক্ষরিত
ভোট কারচুপির অভিযোগ পত্রটি শাল্লা উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
রনজিৎ কুমার দাস আবেদন পত্রে উল্লেখ করেন হবিবপুর ইউনিয়নের মার্কুলি,ফয়েজুল্লাহপুর ও আগুয়াই সেন্টারে ভোট কারচুপি করা হয়েছে।
ভোট গণনার পর এজেন্টদের কাছে থেকে স্বাক্ষর নেওয়ার কথা থাকলেও প্রিজাইডিং অফিসার দুপুর ১ টার সময় সাত পাঁচ বলে এজেন্টদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। এজেন্টদের মূল্যায়ন না করে উনাদের মত করে ভোট গণনা করেন এবং আমার এজেন্টরা ভোট পুনঃগণনার আবেদন করলেও প্রিজাইডিং অফিসার তা প্রত্যাখান করেন । শুধু তাই নয় আমার এজেন্টেরকে রেজাল্ট সীট না দিয়েই ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন ফয়েজুল্লাহ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেন্টারের প্রিজাইডিং অফিসার মতিউর রহমান ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই আমার এজেন্টদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং সঠিক ভোট গণনা না করেই (প্রিজাইডিং অফিসার) চেয়ারম্যান প্রার্থীদের রেজাল্ট দিয়ে দেন।
সে কারনে উক্ত সেন্টারে আমরা তিন রকম রেজাল্ট দেখতে পাই।আগুয়াই সেন্টারে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাসের আনারস মার্কার ব্যালট পেপার বান্ডিলের ভেতরে আমার নৌকা প্রতীকের ২৫টি ভোট পাওয়া যায়।
আবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেন মার্কুলি সেন্টারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার একে এম রেজাউল করিম প্রত্যেক ভোটারদের তিনটি ব্যালট পেপার দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক ভোটারকে চেয়ারম্যানের ব্যালট পেপার দেয়নি।
ভোটারা আমাকে বিষয়টি অবগত করল আমিসহ আমার এজেন্ট ও স্বাক্ষীসহ ঐ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার একে এম রেজাউল করিমকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। এসব বিষয়গুলোই প্রতিয়মান হয় এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস উক্ত কেন্দ্রেও ব্যাপক ভোট কারচুপি করা হয়েছে।
আবেদন পত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন মার্কুলি ভোট কেন্দ্রে প্রথম প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে মনোনীত ছিলেন শাল্লা শহীদ আলী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ দুলাল কিন্তু হঠাৎ কেন বা কি কারনে উনাকে পরিবর্তন করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাসের জামাতা কালিপদ দাসকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। সার্বিক অভিযোগের কারণে আমি মনে করি ইহাতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন সহ আমার প্রতি অন্যায় ও অবিচার করা হয়েছে।এবিষয়ে রণজিৎ কুমার দাস বলেন, আমি নিশ্চিত হয়েই ভোট পুনঃ গণনার আবেদন করেছি। আমার বিশ্বাস অনিয়ম ও দুর্নীতি করে মাত্র ৪১৫ ভোটের ব্যবধানে আমাকে পরাজয় দেখানো হয়েছে তা আমি কখনো মেনে নিতে পারিনি।পুনরায় ভোট গণনা করা অনিয়ম,দুর্নীতি ও কারচুপি নিশ্চিত প্রমানিত হবে এবং বিশাল ভোটের ব্যবধানে আমি বিজয়ী হবো বলে আশাবাদী।তিনি নির্বাচন কমিশনের নিকট আবেদন জানান তার লিখিত আবেদন পত্রটি আমলে নিয়ে সঠিক তদন্ত পুর্বক ভোট পুনঃগণনার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে একান্ত জোড় দাবি জানান আবেদনকারী রণজিৎ কুমার দাস।এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
কমেন্ট করুন