শাল্লা প্রতিনিধি
শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের হাওর রক্ষা বাঁধ রক্ষা করতে শতশত লোক স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে। নিজেদের ফসল রক্ষার্থে বাঁধ নির্মাণে মাটি কাটছে এলাকাবাসী।
বুধবার বিকেল ৩ টায় উপজেলার মোহন কল্লি ও সুধন কল্লির মাঝের বাঁধে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন মিলে হাওর রক্ষা বাঁধের ৯০ প্রকল্পে মাটি কাটেন।কিন্তু বাঁধের মধ্যে দিয়ে গর্ত হয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। উরা কুদাল নিয়ে প্রায় দশ গ্রামের মানুষ বাঁধে এসেছে। এছাড়াও নারী ও শিশুরা বাঁধে মাটি কাটার দৃশ্য দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, হাওর রক্ষা বাঁধের ৯০ নং প্রকল্পের সভাপতি শৈলেশ দাস শুরু থেকেই বাঁধে দুর্নীতি করে আসছে। বালু মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করেছেন।একাধিকবার অভিযোগ দেয়া সত্ত্বেও কোনো কাজ হয়নি। উজানের পাহাড়ী ঢল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এই বাঁধের পাশের হাওর বাঘার বাঁধ তলিয়ে গেছে। এই হাওর তলিয়ে যাওয়ায় ছায়ার হাওরের ৯০ নং প্রকল্পে পানির চাপ বেড়েছে। দুই তিন জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে। যেকোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে হাওর তলিয়ে যেতে পারে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ৯০ নং প্রকল্পের আওতার ভেতরে ছায়ার হাওর। এই হাওরে ৪হাজার ৬শ হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ কৃষক এই হাওরের উপর নির্ভরশীল। তাই কল্লি গ্রামের পাশে ৯০ নং প্রকল্পের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে উপজেলাবাসী নিঃস্ব হয়ে যাবে।
হরিপুর গ্রামের আফাল দাস বলেন, বাঁধের কাছ থেকে মাটি কেটে বালু মাটি দেওয়ার কারনেই এখন বাঁধটি হুমকির মুখে। কয়েকটি জায়গায় গর্ত হয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। তাই নিজেদের ফসল রক্ষার্থে ছেলে মেয়ে নিয়ে বাঁধ মাটি কাটতে এসেছি। কারন এই ফসলের উপরেই আমাদের জীবিকা নির্বাহ।
শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী (এসও) আব্দুল কাইয়ুম জানান, নদীর পানি দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ৯০ নং প্রকল্পে ফাটল ধরেছে। আর এই বাঁধে বালু মাটি থাকায় কয়েকটি জায়গা দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। তবে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীসহ বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে। আশা করছি বাঁধটি টিকে থাকবে। হাওরের ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।
কমেন্ট করুন