লাউড় ডেস্ক
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মানিগাও গ্রামে আরো ২৮ টি পরিবার পাবে মাথা গুজার ঠাঁই।
তাহিরপুর উপজেলায় ১ম ও২য় পর্যায়ে ১৪৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছিল নান্দনিক পাকা ঘর। সে সময়ে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার প্রতিটি ঘরের নির্মান ব্যায় ছিল বর্তমানে এবরাদ্ব বেড়ে দাড়িয়েছে ২লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা । এখন প্রতিটি ঘরের ৩ফুট নিচে ফাউন্ডেশন, লিন্টার ও উপড়ে ভিম দেয়া হয়েছে, যার ফলে ঝড়-তুফানেও ভেঙ্গে পড়ার ভয় কম।
সুবিধাভোগী দরীদ্র গৃহহীন নিরালা বেগম,খুরশেদ মিয়া,সাহেদা বেগমও সেলেনা বেগমের সাথে কথা বল্লে তারা জানান “আমরার খুশির সীমা নাই, পাকাঘর,টয়লেট রান্নার ঘার ২টা থাকার ঘর এর চেয়ে আনন্দের আর কি আছে জীবনে”।
সুবিধা ভোগীরা বলেন এই মাসে আবহাওয়া খারাপ ও ধান কাটার জন্য লোকজন সব হাওরে থাকায় ঘর গুলোতে রং দেওয়া দেরীতে হচ্হে। তবে এবিষয়ে তাদের কোন অভিযোগ নাই এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যেই রং এর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রাজ মিস্ত্রি সাহাব উদ্দিন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,সুনামগঞ্জ জেলার তৃতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে কমপক্ষে দুই শতক খাস জমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট ১৪৬ টি পরিবারের ঘর নির্মাণ কাজ শেষে হস্থান্তর হয়েছে। আরো ২৮টি ঘর আনুুষ্ঠানিক ভাবে ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দেশ ব্যাপি ভিডিও কনফারেন্সে আনুুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পর ২৮ জন গহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি হস্থান্তর করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানা গেছে পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রতিটি গৃহে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি কক্ষ,একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রায়হান কবীর বলেন,সরকারের মহতি এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছিন্নমুল ও ভূমিহীন পরিবারের তথ্য যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
এ উদ্ধোধন সংক্রান্ত বিষয়ে অদ্য ২৫ এপ্রিল তাহিরপুর উপজেলার গনমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এক প্রেস কনফারেন্স করা হয়েছে।
কমেন্ট করুন