স্টাফ রিপোর্টার শাল্লা
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের জেএল (১৩) দাগ নং ৩১১৫ খতিয়ান (১) সরকারি ভূমিতে জোরপূর্বক দখলসহ ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচারনা করে আসছে ভূমিখেকো পান্ডব দাস।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের নিকট দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার, তহশীলদার,অফিস সহকারীসহ একটি টিম আনন্দপুর গ্রামের ভূমিখেঁকো পান্ডব দাসের নিকট থেকে উক্ত জায়গা উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা করেন,এবং সেখানে লাল নিশান টাঙিয়ে দেন তারা ।
জানা যায়,পান্ডব দাস দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের পানি নিস্কাসনের ড্রেনসহ রাস্তা ক্ষমতার বলে দখল করে ব্যবসা করছিল। হঠাৎ সেই জায়গায় সরকারি অনুমতি ব্যতিত দালান ভবন তৈরি করছে পান্ডব দাস।ভবন নির্মাণ তৈরিতে গ্রামবাসী বাধা দিলে গ্রামবাসীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগকারীরা জানান।পরে গ্রামবাসীর পক্ষে রাখাল চন্দ্র দাস গং বাদী হয়ে ভূমিখেকো পান্ডব দাসের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে সার্ভেয়ার, তহশীলদার,অফিস সহকারী জায়গা উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান।
পরে সরকারের খাস জায়গা চিহ্নিত করে পাকা ভবন ও পুরনো দোকান ভেঙ্গে ফেলার জন্য ১৫ দিনের সময় বেধে দেন পান্ডব দাস কে।সময়সীমা অতিক্রম হলে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে বলে পান্ডব দাসকে জানিয়ে দেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, বন্দোবস্ত না নিয়ে সরকারি জায়গা দখল করা হয়েছিল। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর দখলদারের কাছ থেকে সরকারি জায়গা উদ্ধার করে লাল নিশান টানিয়ে দিয়ে আসি। এবং ১৫ দিনের মধ্যে সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
এলাকাবাসী বলছেন, বহুদিন পরে হলেও সরকারের নজরে এসেছে বিষয় টি। তারা বলছেন সরকারি জায়গায় কি করে, কার ক্ষমতায় ভাবন নির্মাণ করছে সেই বিষয় জানসাধারণ জানতে চায় এবং এই মহৎ উদ্যোগের জন্য প্রশাসনের প্রশংসা করেন এলাকাবাসী ।
কমেন্ট করুন