লতিফুর রহমান রাজু,সুনামগঞ্জঃ- রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের থানা পয়েন্টে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদারের শোকসভা চলাকালে তুমুল বর্ষণ হচ্ছিল।এ সময় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমি এসেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে মানুষের জন্য কাজ করতে। কিছু লোক আমাকে প্রধামন্ত্রীর কাছে মন্দভাবে উপস্থাপন করতে চায়। আপনাদের কাছে বিচার দিয়ে গেলাম। আমি কয়টা অন্যায় কাজ করেছি গত ১২ বছরে। দুদক পুলিশকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন,খোঁজ নিয়ে দেখেন,আমার কোন ব্যাংকে কি আছে। আমি ক’টা বাড়ি গাড়ি করেছি। সুনামগঞ্জে রেললাইন আমার কিংবা কোন এমপি সাহেবের হুকুমে হবে না।যেদিকে মানুষের বসবাস,ইঞ্জিনিয়ার যেদিকে বলবে সেদিকেই রেললাইন যাবে।
মন্ত্রী বলেন,হাওর জনপদে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এই বাংলাদেশ এখন নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারছে। নদীর তলদেশে টানেল নির্মিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। রেললাইন, বিমানবন্দর হবে। এগুলো শেখ হাসিনার অবদান।
দিরাইয়ের মানুষ আজ আমাকে ৭ টি উন্নয়ন কাজের অনুরোধ করছেন। আমি বলবো শুধু এই ৭টি নয় আরও ৭০টি কাজ করতে হবে। আপনাদের দুঃখগুলো আমি একা দূর করতে পারবো না,আমি আমার নেত্রীর অনুমতি নিয়ে আপনাদের কাজগুলো সম্পন্নের চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন,সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমার বড় ভাই। দিরাইয়ে আসলে আমি ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপিকে মিস করি। তিনি আমার বৌদি। তিনি অসুস্থ। তার সুস্থতা কামনা করি।
মন্ত্রী বলেন,যারা আওয়ামী লীগে আশ্রয় নিয়ে টেন্ডারবাজি,দূর্নীতি করছে,দলে বিভাজন সৃষ্টির পায়তারা করছে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,বিএনপি এদেশের জন্য কি করেছে। ক’টা মসজিদ-মন্দির,ব্রীজ,সড়ক করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশকে আমূল বদলে দিয়েছেন।
দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সমীরণ দাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়ের পরিচালনায় শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট,সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম,সহ সভাপতি সৈয়দ আবুল কাশেম,সহ সভাপতি ও শাল্লা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবণী মোহন দাস,জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সদস্য ও দিরাই উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী,সাবেক যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান,দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, দিরাই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী,প্রয়াত আছাব উদ্দিন সরদারের ভাতিজা শাহ আলম সরদার প্রমুখ।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দুপুর থেকে থানা পয়েন্টে কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটে।শোক সভা চলাকালে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির মধ্যেও ছাতা নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর বক্তব্য শুনেন শতশত মানুষ।
কমেন্ট করুন