সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে আলোচনা ও বাউল গান পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এর ১২২ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো.শামছুল আবেদীন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধে টেকেরঘাট সাবসেক্টরের যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার এডভোকেট আলী আমজাদ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, সাংবাদিক রওনক বখত সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু,সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর,, সহ-সভাপতি মো.জসিম উদ্দিন,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বাউল শাহজাহান সিরাজ,উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মী কেজি মানব তালূকদার,সাংবাদিক রাজু আহমেদ রমজান,সাংবাদিক হোসাইন মাহমুদ শাহীন ও গীতিকার নির্মল কর জনি প্রমুখ। এ সময় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সেলিম আহমদ তালুকদার,,সুরমা ইউপি সদস্যা তানজিনা বেগম ও গীতিকার হীরন খানসহ স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের উপর দেশাত্ববোধক গানসহ কামালগীতি পরিবেশন করেন সাধক কবি দূর্বিণ শাহের শিষ্য প্রবীণ বাউল তছকীর আলী,জেলা গীতিকার ফোরামের সভাপতি বাউল শাহজাহান,বাউল শফিকুন নূর,বাউল আমজাদ পাশা,বাউল যোবায়ের বখত সেবুল,সাংবাদিক বাউল আল হেলাল,সাংবাদিক বাউল রাজু আহমেদ রমজান, বাউল সেলিম আহমদ, বাউল শামীম আহমেদ ও ক্বারী আমিরুল ইসলামসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন,গত ২৫ অক্টোবর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী কর্তৃক বাউল কামাল পাশা কে শিল্পকলা (সংগীত) ক্ষেত্রে মরণোত্তর একুশে পদক ২০২৪ মনোনয়নের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করেন। এর আগে ২০২০-২০১৮ইং সনে সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ,২০১৭ইং সালে সাবিরুল ইসলাম, ২০১৪ইং সনে শেখ রফিকুল ইসলাম এবং ২০১৩-২০১১ইং সালে মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী,বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) কে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য পর পর ৯বার প্রস্তাবনা প্রেরণ করলেও এখন পর্যন্ত এই শিল্পীর ভাগ্যে জোটেনি মরণোত্তর স্বীকৃতি।
উল্লেখ্য ৬ ডিসেম্বর “দীন দুনিয়ার মালিক খোদা এত কষ্ঠ সয়না তোমার দিল্কি দয়া হয়না’ “চাইনা দুনিয়ার জমিদারী কঠিন বন্ধুরে”, “নৌকা আগে আগে চলেরে ঐ নৌকাটা শেখ মুজিবের”, “সাজিয়ে গুজিয়ে দে”,“কাঙ্কের কলসী জলে গিয়াছে ভাসি” ও প্রেমের মরা জলে ডুবেনা’ সহ হাজার হাজার গানের রচয়িতা গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশার (কামাল উদ্দিন) এর ১২২ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯০১ সালের এই দিনে তদানীন্তন সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ মহকুমার দিরাই থানার ভাটিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এই মরমী সাধক। মৃত্যুবরন করেন ১৯৮৫ সালের ৩রা মে।
কমেন্ট করুন