স্পোর্টস রিপোর্টঃ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকে স্পিনারদের দাপুটে বোলিং তোপে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ১৩১ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে অলআউট হয় ১০৮ রানে। এরই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শক্তির জানান দিলো বাংলাদেশ।
কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে অনেক- এই অপবাদ ও ব্যর্থতা থেকে বেরোনোর প্রথম ধাপটাও হয়তো ফেললো শক্তিধর অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। তাও আবার মাত্র ১৩১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না,জয়ের পুরো কৃতিত্বই পাবেন বোলাররা। যেখানে নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এদিকে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর প্রশংসায় ভাসছেন নাসুম আহমেদ। বিশেষ করে, সিলেট বিভাগের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাসুম আহমেদকে আজকের ম্যাচের জয়ের নায়ক উল্লেখ করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
নাসুম আহমেদ সুনামগঞ্জের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে। সিরিজের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের পক্ষে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
নাসুম আহমদের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামে। তিনি সুনামগঞ্জের ঐহিত্যবাহী ক্লাব প্যারামাউন্ট ক্রিকেট ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলেছেন।
প্যারামাউন্ট ক্রিকেট ক্লাবের কর্মকর্তা ওয়াসিম বখত বলেন, ২০১৩ সালে নাসুম আহমেদ আমাদের প্যারামাউন্ড ক্রিকেট ক্লাবের প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের খেলোয়াড় ছিলেন। সে একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার। সুনামগঞ্জ জেলার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সে জাতীয় দলের হয়ে খেলছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের খবর।
সঞ্জয় চৌধুরী নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নাসুম আহমেদ আমাদের সিলেটের ছেলে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের সুসন্তান নাসুম আহমেদ আজ টি টুয়েন্টি জয়ের অন্যতম নায়ক। অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ ও নাসুম আহমেদকে।’
সুনামগঞ্জ জেলা বারের সাবেক পিপি খায়রুল কবির রুমেন বলেন, ‘নাসুম আহমেদ আমাদের সুনামগঞ্জী, তাঁর জন্য আজকে আমরা জয় পেয়েছি। তাঁর জন্য আমরা গর্বিত।’
সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট বিভাগের যুগ্ম সস্পাদক চৌধুরী আহমদ মুজতবা রাজী বলেন, ‘নাসুম একজন পরিশ্রমী খেলোয়াড়। সে বিভিন্ন বযসভিত্তিক দলে সফলতার সাথে খেলে আজ এ অবস্থায় এসেছে। সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সন্তান হলেও তার বেড়ে উঠা সিলেট শহরেই। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সম্ভব, এটি বর্তমান তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য একটি বার্তা হিসেবে থাকবে। সুনামগঞ্জের মানুষ নাসুম জাতীয় দলে সুনামের সাথে খেলছে বিষয়টি নিঃসন্দেহে গৌরবের।
কমেন্ট করুন