কামাল হোসেন,তাহিরপুরঃ-সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় মাইফুল নেছা(২৩) নামের ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাতের আঁধারে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার মামলায় পাষন্ড স্বামী আবু তাহের জান্নাতকে ৩ দিন পর গ্রেফতার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
আজ (৩ আগষ্ট মঙ্গলবার) সকালে জেলার দিরাই উপজেলা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । সে দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, ভিকটিম নিজেই বাদি হয়ে তার স্বামী শ্বশুরসহ ৫ জনকে আসামি করে থানার মামলা করে। মামলার পরে আজ সকালে দিরাই উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জান্নাত কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসা বাদের পর থেকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য : যৌতুকে দাবি মেটাতে না পারায় গৃহবধূ মাইফুল নেছার স্বামী আবু তাহের জান্নাত সহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধূ মাইফুল নেছাকে নির্যাতন শুরু করলে বিগত মাসখানেক আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদালারপাড় গ্রামে বাবা কারী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে চলে আসে। পরে এরই জের ধরে বিগত (৩০ জুলাই শুক্রবার) রাত ৮টার সময় ওই গৃহবধূ মাইফুল নেছা প্রাকৃতিক ডাকে ঘরের বাহির হলে এ সময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা মাইফুল নেছার স্বামী আবু তাহের জান্নাত, শ্বশুর সাজিদুল মিয়া, দুই দেবর জাকির হোসেন ও বাবুল মিয়া তাকে ধরে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ভাঙ্গার খাল নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নদীর পাড় থেকে বস্তা খুলে তাকে উদ্ধার করে।
পরদিন শনিবার (৩১ জুলাই) রাত ১২টার স্বামী আবু তাহের জান্নাত, শ্বশুর সাজিদুল মিয়া, দুই দেবর জাকির হোসেন (২২) ও বাবুল মিয়া (২৫) এবং ননাই গ্রামের মামা শ্বশুর আলী হোসেন (৪০) কে আসামি করে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
কমেন্ট করুন