স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, জাদুকাটা নদীতে পাথর উত্তোলনে সরকারি বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও ঘাগটিয়া গ্রামের রানু মিয়া(৩৮) ও নুর সালামের ছেলে হেফাজুলের ১০/১২ জনের একটি পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্রের নেতৃত্বে গত একমাস ধরে একটি পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্র জাদুকাটা নদীর পাকা রাস্তার মাথা এলাকায় নদীর পাড় কেটে প্রায় ১০/১২ টি অবৈধভাবে পাথর কোয়ারী করে পাথর উত্তোলন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন মতো আজ রবিবার সকাল থেকে শতাধিক শ্রমিক ওই সব অবৈধ পাথর কেয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করে আসছে। পরে বিকাল সাড়ে ৩ টার শ্রমিকরা পাথর উত্তোলনের সময় হঠাৎ করেই পাথর কোয়ারীর পাড় ভেঙে কোয়ারীতে পাথর উত্তোলনের কাজে থাকা শ্রমিক আজহারুল ইসলামের উপরে পড়লে এসময় মাটি নিচে চাপা পাড়ে যায় শ্রমিক আজহারুল । এ সময় ওই কোয়ারীতে থাকা অন্য শ্রমিকদের ডাক চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন ও নদীতে কাজ করতে আসা বারকী শ্রমিকরা মাটির নিচ থেকে থাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাদাঘাট বাজারের লাইফ কেয়ার ডায়গনিস্টিক সেন্টার নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ঘাগটিয়া গ্রামের নুর সালামের ছেলে হেফাজুল ও রানু মিয়া ওইসব অবৈধ বালু-পাথর কেয়ারী থেকে পাথর বোঝাই প্রতি বারকী নৌকা ২০০ টাকা ও প্রতি ট্রাক থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাদা নিয়ে সরকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখি জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে কেয়ারী করে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে আসে দীর্ঘদিন ধরে।
এ ব্যাপারে অভিযোগ রানু মিয়া বলেন, ভাই আমার কোন কোয়ারী নাই। আমি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রার্থী তাই কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোন টাকা পয়সা করো কাছ থেকে নেই না। এ সব অভিযোগ মিথ্যা।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে রাত ৮ টায় বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা এখনো ঘটনার স্থলে আছি। বাদাঘাট ইউনিয়নের বর্তমান ও সবেক চেয়ারম্যান দুজনেই আছেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ওসির দায়িত্বে থাকা তাহিরপুর থানার এসআই হক্কানি বলেন,খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এস আই জয়নাল আবেদীনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অবৈধ বালু-পাথর কোয়ারীর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমেন্ট করুন