লিয়াকত হোসেন খোকনঃ- বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই পাহাড়ের উচ্চতা ১৫০০ ফুট। চিম্বুক পাহাড় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত যে কোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করবে।
চিম্বুকে রয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি রেস্টহাউজ, কিন্তু তা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত নয়। চিম্বুকের চৌহদ্দির মধ্যে নেই কোনো প্রাইভেট আবাসিক হোটেল মোটেল, যেখানে গিয়ে রাত যাপন করা যেতে পারে। অথচ এই চিম্বুক পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে সুন্দর উপজেলা শহর আর সেটা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের চিম্বুক হতে পারে একটি শৈল শহর।চিম্বুক পাহাড়ে যাওয়ার পথে দেখা যায় আঁকাবাঁকা পথ, চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য, সর্পিল সাঙ্গু নদী, ঝরনা আরো কত কী। চিম্বুক পাহাড়ে মেলে মেঘের স্পর্শ।
পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি শহর গড়ে উঠলে এই জনপদে নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আসবে চিম্বুকে।
১৯৭৭ সালে চিম্বুক পাহাড়ে প্রথম গিয়েছিলাম। তখন সড়ক-টড়ক তেমন ছিল না। উপজাতি পত্রবন্ধুর হাতে হাত রেখে করেছিলাম চিম্বুক পাহাড় দর্শন। এরপরে ১৯৮৩ সালে আরেকবার গিয়েছিলাম। আর এই বছরের শুরুতে করোনার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে আমার বড় ভাইয়ের নাতি মানে আমারও নাতি বেড়িয়ে এলো চিম্বুক পাহাড় থেকে। সে জানাল—দাদু, সত্যি বলতে কী, প্রেমে পড়ে গেলাম চিম্বুক পাহাড়ের রূপে। কিন্তু দুঃখ, চিম্বুক পাহাড় ও এর আশেপাশের এলাকা নিয়ে আজো গড়ে ওঠেনি কোনো শহর; ওখানে নেই কোনো প্রাইভেট আবাসিক হোটেল।
কত সুন্দর চিম্বুক পাহাড়—আহা ঐ পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে বারে বারে যেতে মন চায়। আহা কবে চিম্বুকে গড়ে উঠবে এক পাহাড়ি শহর। অথচ এই চিম্বুক পাহাড়ে যাওয়া হয়ে গেল আমার তিন প্রজন্মের।
কমেন্ট করুন