মনির হোসেন জৈন্তাপুর,সিলেটঃ-্প্কৃ্তি কন্যা সিলেট। পাহাড়, নদী, টিলা, গ্যাস আর সবুজ চা-বাগান যেন প্রকৃতির মহিমায় সাজিয়ে রেখেছে জেলাটিকে। সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে জাফলং, জৈন্তাপুর ডিভির হাওড়ের শাপলা বিল, লালাখাল, মাধবকুণ্ড, রাতারগুল, শ্রীমঙ্গল, লাউয়াছড়া এবং বিছনাকান্দি অন্যতম।
এসব কিছুর ঊর্ধ্বে পর্যটন নগরী সিলেটের জৈন্তাপুরে সন্ধান মিলেছে মায়াবি ঝর্নার পর আরেকটি নয়নাভিরাম ঝর্নার; স্থানীয়রা যার নাম দিয়েছে ‘আদুরি’।
পান-পানি-নারী খ্যাত জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। গ্যাস, কয়লা, পাথর, বালি, ইউরেনিয়াম এবং প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে উপজেলাজুড়ে।
ঝর্নাটি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুরের খরমপুর নামক স্থানে অবস্থিত। সিলেট জাফলং রোড থেকে শ্রীপুর হয়ে হেঁটে মাত্র ৫ মিনিট অতিক্রম করলেই দেখা মিলবে আদুরির।
অত্যন্ত প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে জনমানবশূন্য এলাকায় ১০-১৫ ফুট উপর থেকে অবিরাম নেমে আসছে স্বচ্ছ পানির নহর।
প্রকৃতিপ্রেমী ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলাম জানান, ঝর্নাটি আমাদের উপজেলার পর্যটন খাত এবং সৌন্দর্য আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য এটিকে উন্মুক্ত করে দেয়া হলে, যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রাকৃতিক পরিবেশে একটু সময় মানুষ নীরবে একান্ত সময় কাটাতে পারবে।
ঝর্নাটি পরিদর্শন করে জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ জানান, ঝর্নাটির বিষয়ে আগে জানা ছিল না। বাড়ির পাশেই এত সুন্দর একটি ঝর্না যা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। দেশ ও প্রবাসে আপনারা যারা ভ্রমণপিপাসু আছেন, চাইলেই প্রকৃতির সান্নিধ্যের কাছে এসে ছোঁয়া নিয়ে যেতে পারেন।
কপি রাইটসঃ লাউড় বিডি নিউজ ২৪