বিশেষ প্রতিবেদক
সুনামগঞ্জের কৃতী সন্তান ড. মো. আতাউল গণি কে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাঁর এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
আতাউল গণি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আপন বিভাগের যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি মেহেরপুর ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হালাবাদি গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত মুসলেম উদ্দিন ও হাজেরা খাতুনের দ্বিতীয় পুত্র ড. মো আতাউল গণি।
ড, আতাউল গণি নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী ছাতারকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে স্থানীয় কাটাখালি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজিতে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
চাকুরী জীবনের শুরুতে তিনি ঢাকাস্থ শেখ বোরহানুদ্দিন কলেজ ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে প্রভাষক ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাজ্যের গ্রিনিচ বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন থেকে আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
কারিগরি শিক্ষা প্রসারে তিনি ২০১০ সালে নিজ এলাকায় ‘হাজেরা মুসলিম ট্যাকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ পলাশ’ নামে একটি স্বতন্ত্র কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটিকে ২০২০ সালে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ দিগেন্দ্র বর্মণ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
ড. গণি ১৮তম বিসিএসএ শিক্ষা ক্যাডারে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ও জকিগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। পরে ২১তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন।
ড. মো. আতাউল গণি জানালেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সদয় সম্মতিক্রমে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বদলির জন্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি গ্রামের ছেলে। গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার যাতে আমার উদ্যোগে উপকৃত হয়, সেই চেষ্টা করবো। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করবো আমি।
কপি রাইটসঃ লাউড় বিডি নিউজ ২৪