প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ৩:১১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ৭:৫৮ অপরাহ্ণ
পাঠলাই নদীতে নৌজটের ১৬দিন, ভোগান্তিতে নৌযান চালক, মালিক ও শ্রমিকরা
তানভীর আহমেদ,তাহিরপুর
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর নাব্যতা সংকটের কারনে তীব্র নৌজট সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা পলি ও বালি জমে যাওয়ার কারণে নদীর বেশীর ভাগ এলাকা ভরাট হয়েছে। এতে গত ১৬ দিন ধরে আটকা পড়ে আছে চুনাপাথর ও কয়লা বোঝাই পাঁচ শতাধিক ছোট বড় বাল্কহেড। আর অনিশ্চিত নৌজটে আটকা পরে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌযান চালক,মালিক ও শ্রমিকরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন,নদীর নাব্যতা সংকটের কারণেই এমন নৌজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১৫-২০ দিনের বেশি। সেই সময়ে পাড়ি দেওয়া যাবে কি না তাও অনিশ্চিত। আবার অন্যদিকে নৌজটে আটকা থাকা পণ্যগুলোরও নেই কোনো নিরাপত্তা। শ্রমিকদের চেহারায় ফুটে উঠেছে অসহায়ত্ত। অনিরাপত্তায় ভুগচ্ছেন নৌযান চালকরা। ফলে ব্যবসায়ী ও নৌযানের চালকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সুলেমানপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার পাটাবুকা থেকে কানামইয়া বিল পর্যন্ত প্রতিবছর নৌ-জটের সৃষ্টি হয়। এই নদীপথেই প্রতি বছর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়ছড়া, বাগলী, চাড়াগাঁও তিনটি শুল্ক স্টেশন থেকে কোটি কোটি ঘনফুট কয়লা, চুনাপাথর সারা দেশে যোগান দেয় এখানকার ব্যবসায়ীরা। এসব পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম নদীপথ। কিন্তু নদীগুলোর নাব্যতা সংকটের কারনে ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পরে। আর বিপন্ন হতে চলেছে নদী পাড়ের লোকজনের জীবন ও জীবিকা। এতে করে নৌযান শ্রমিকরা ওই সব নদীতে চলাচল করতে গিয়ে দিনের পর দিন আটকা পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সুলেমানপুর বাজার থেকে বাঁশচাতল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার নৌপথ। এটুকু পথের নাব্যতা সংকটের কারণে নদীর সাত কিলোমিটার এলাকায় নৌজট দেখা দিয়েছে। পাঁচ শতাধিক নৌযান এগারো দিনের বেশি সময় ধরে আটকে আছে।
নৌযান চালক জামিল মিয়া বলেন,আজ দশদিন যাবৎ নৌজটে আটকা আছি। বর্ষাকালে এই এলাকাটি পাড়ি দিতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে,কিন্তু এখন যে কয়দিন যে লাগবে তা বলা যাচ্ছে না।
একইভাবে নৌযান চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুঃখের কথা কি আর বলবো! প্রত্যেক বছর এই নদীতে নৌজট সৃষ্টি হয়। নৌজটে আইসা ১০-১৫ দিন বসে থাকা লাগে। নৌকা চালাই দুইটা টাকা আয় করার জন্য কিন্তু এখনকার সময়ে আয় তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হবে কত তারই উপায় নাই। তাহলে নিজে খাইমু কি আর পরিবারের সদস্যরাই বা খাইবোকি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন,৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে এই নৌজট ছাড়াতে কাজ শুরু হয়েছে।আশা করছি দ্রুতই বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তিনি আরো বলেন, নৌজট নিয়ে যাতে কোনো পক্ষ চাঁদাবাজি করতে না পেরে, সে জন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।যদি এধরনের কোনো অভিযোগ আসে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কপি রাইটসঃ লাউড় বিডি নিউজ ২৪
সম্পাদক ও প্রকাশক- আলম সাব্বির