লতিফুর রহমান রাজু.সুনামগঞ্জ:
দীর্ঘদিন ধরেই সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান নদীর বিভিন্ন স্থানে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট বালু-পাথর অবৈধ ভাবে উত্তোলন করছে। এমনকি পরিবেশ বিধ্বংসী ড্রেজার ও সেইভ মেশিন লাগিয়ে ও বালু-পাথর উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে নদীর তীর ও আশপাশের পরিবেশ চরম হুমকির সম্মুখীন। মাঝে মাঝে কিছু অভিযান চালানোর পর দুয়েকটি নৌকা জব্দ করার খবর পাওয়া গেলেও এসব থামছে না। ফলে সরকার ও রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে কিছু অসাধু বিজিবি, পুলিশ পরোক্ষ ভাবে এদের সহযোগিতা করেন এবং অভিযানের আগেই তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়। পুলিশের স্পীডবোট ড্রাইভার দের ও কেউ কেউ এই সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে দহরম মহরম রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আসার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করলে বিষয়কটি তাদের অবগত করলে তারা নড়েচড়ে বসেন। এমনকি এসব বন্ধে করনীয় ঠিক করেন।তারই ধারাবাহিকতায়
গত ২১ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ ধোপাজান নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এক বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেন। উক্ত অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সুনামগঞ্জ সদর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ। সুরমা নদী থেকে ধোপাজান নদীর উজানে সারারাত ব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় টাস্কফোর্সের আগমন টের পেয়ে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ বাল্কহেড নৌকা, ড্রেজার মেশিন বসানো নৌকা ইত্যাদি ছেড়ে পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে পলায়ন করে। অভিযানে মোট ০৮(আট)টি বালু বোঝাই বাল্কহেড নৌকা এবং ০৫(পাঁচ)টি ড্রেজারসহ কাঠের নৌকা জব্দ করা হয় এবং সুনামগঞ্জ সদর থানার জিম্মায় এনে রাখা হয়। পরিবেশের ক্ষতি করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া ও নবাগত পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান।
কপি রাইটসঃ লাউড় বিডি নিউজ ২৪