ডেস্ক রিপোর্ট ঃ- হঠাৎ করে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর থেকে সারা দেশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।,বাস,ট্রাক মালিক সমিতির ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জরুরি পণ্য পরিবহন,জরুরি চিকিৎসা সেবার কাজে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহনের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সড়কে গণপরিবহন না থাকার সুযোগে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। বাস বন্ধ থাকয় অনেকেই সিএনজি অটোরিকশা সহ বিভিন্ন হালকা যানে পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যে। সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও নতুন বাসস্ট্যান্ডে টিকেট কাউন্টার বন্ধ ছিলো, বাসগুলোও সারিবদ্ধভবে দাঁড় করানো। ছুটির দিন হলেও সকাল থেকেই সড়কে যাত্রীদের ভিড় ছিল। নানান প্রয়োজনের তাগিদে লোকজন রাস্তায় বের হয়েছেন। কিন্তু গণপরিবহন না থাকায় তারা বিপাকে পড়ছেন। এ অবস্থায় যাত্রীদের পকেট কাটার সুযোগ পেয়েছে সিএনজি অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। যারা বেশি ঠেকেছেন তারা চালকদের চাহিদামত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যের দিকে রওয়ানা হচ্ছেন। আগে ভাড়া যেখানে ৯০ টাকা ছিল সেই জায়গায় অনেককে দিতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ভুক্তভোগীরা জানান, এমন ভাড়া চাওয়ার বিষয়টি আগে কখনও ঘটেনি।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা মনোহর আলী বলেন, এটা কি কোন কথা হলো, হুট করে এমন ধর্মঘটে আমাদের সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই যাতে দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা ফেরিওয়ালা রফিক মিয়া বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ধর্মঘট না দিয়ে সেটা নিয়ে কি আলোচনা করা যায় না। ধর্মঘটে আমাদের গরীবদের কতটুকু কষ্টতে পড়তে হয় সেটা একমাত্র আমরাই জানি। আজকে যদি আমি সিলেটে গিয়ে কাপড় বিক্রি না করতে পারি তাহলে আমার পরিবার না খেয়ে থাকবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা কবির মিয়া বলেন, সরকার যদি পরিবহন শ্রমিকদের মতামত নিয়ে তাদের সাথে বৈঠক করে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করতো তাহলে আজকে আমাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
সুভাষ তালুকদার বলেন, বিশেষ কাজে সিলেটে যেতে হচ্ছে আমাকে। বাস ধর্মঘটের কারণে এজন্য আমাকে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।
পলাশ ইউনিয়নের বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, কি দেশে বাস করি, ধর্মঘটের কারণে ৯০ টাকার ভাড়ার জায়গায় ৩০০ টাকা দিয়ে গন্তব্য স্থানে যেতে হচ্ছে।
জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আকলিমা বেগম বলেন, সিলেটে যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলছে না, সিএনজি চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া করে যাত্রীদের সিনএজিতে গন্তব্য স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। ধর্মঘট বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবারে সভা রয়েছে। সে সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
কমেন্ট করুন