তাহিরপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মধ্যযুগীয় কায়দায় যুবককে হত্যার ঘটনায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি মোশারফ হোসেন তালুকদারকে।
মঙ্গলবার রাতে নিহতের পিতা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। এর পূর্বে গত ২৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামে রাত ১১টায় হত্যার ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হলেও হত্যাকারীদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে মামলার আসামীদের গ্রফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
এদিকে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত সাকিব রহমানের লাশের ময়নাতদন্তের পর বুধবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের পিতা মুজিবুর মিয়া (৪৮) জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘাগটিয়া গ্রামের রাফি, রাজ, নুরুজ আলী ও তার ছেলে কাহার মিয়া, মহিনুর, মোশাহিদসহ অন্তত ১০/১২জন ও তার বাহিনী মিলে আমার ছেলেকে জোরপূর্বক ধরে মোশাররফের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মোশারফ এর নির্দেশে তারা সবাই মিলে আমার ছেলেকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ও নক উপড়ে তুলে নৃশংসভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে আমি রাত ১টার দিকে মোশাররফের বাড়িতে গেলে তারা আমার উপরও আক্রমণ করে। পরে আত্মরক্ষার্থে আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ আমাকে জানায়, আমার ছেলেকে তাহিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমার ছেলে সাকিবকে না পেয়ে পরে জানলাম সুনামগঞ্জ হাসপাতালে আছে। সেখানে গিয়েও ছেলের কোনো খোঁজ পেলাম না। পরে শুনলাম সিলেট ওসমানি হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গিয়ে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি আরো জানান, দুই বছর আগেও মোশারফের লোকজন আমার ঘড়বাড়ি পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং আমার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মোশারফের বিরুদ্ধে ৩০টি অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের কাছে। আমি আমার ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
কমেন্ট করুন