বিশ্বম্ভরপুরের আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকায় পানি কিছু কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রয়োজন।
গত শুক্রবার থেকে প্রলয়ঙ্কারী বন্যার শুরু হয়। বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠে।লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী ছিল।বন্যার কারণে অনেকের ধান, টাকাপয়সা, মালামালসহ জরুরী কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো পরিমাণ জানা যায়নি।কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে থাকায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে।
জানা যায়,সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৯০ মেট্রিকটন চাল,নগদ ৮ লক্ষ টাকা, ১হাজার খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট ও ২৬ হাজার টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি সংস্থা ও ব্যাক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই দাবী করছেন, যাদের ঘরবাড়ি ও জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ঢেউ টিন,নগদ অর্থ সহায়তা করার।
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী সুনামগঞ্জ থেকে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি এখনো চালু না হওয়া সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বেড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাদিউর রহিম জাদিদ বলেন,সরকারি ভাবে আমরা ত্রাণ,খাদ্য সহায়তা করে যাচ্ছি। বর্তমানে পানি কিছুটা কমেছে, তবে ক্ষতিগ্রস্থদের এখন পুনর্বাসন প্রয়োজন।
কমেন্ট করুন