স্টাফ রিপোর্টার ঃ-
সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক প্রয়াত হাসান শাহরিয়ারকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আজীবন সম্মাননা পদক ২০২১ প্রদান করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসাবে পদক প্রদান করেন।প্রয়াত সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার এর অগ্রজ আইনজীবী কলামিষ্ট হোসেন তওফিক চৌধুরী পদক গ্রহণ করেন।উল্লেখ্য যে হাসান শাহরিয়ার সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ মকবুল হোসেন চৌধুরীর কনিষ্ঠপুত্র।গত ১০ই এপ্রিল তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। শনিবার রাজধানীর রমনায় তথ্য ভবন অডিটরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’ শীর্ষক সেমিনার ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০২১ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, রেডিও ক্যাপিটাল ও টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, তথ্য সচিব মকবুল হোসেন প্রমুখ।এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের কর্মকর্তারা ও পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা।
যারা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক পেয়েছেন:-
আজীবন সম্মাননা পদক পেয়েছেন সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার।প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের প্রয়াত সম্পাদক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ খান মাসুদ। আঞ্চলিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা পেয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোন পত্রিকা। গ্রামীণ সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার নিজামুল হক বিপুল, উন্নয়ন সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে মাজহারুর ইসলাম,নারী সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে দ্য ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার বনানী মল্লিক, ফটো সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন বর্তমান যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন,আমরা প্রেস কাউন্সিল আইন পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি সেটি ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় গেছে।নতুন আইন মন্ত্রিসভার মাধ্যমে সংসদে পাস হবে। তবে এ আইনটি ১৯৭৪ সালের সংশোধিত আইন হিসেবে থাকবে।কারণ বঙ্গবন্ধুর করা আইন বাদ দিয়ে নতুন আইন করার প্রয়োজন নেই। এটি সংশোধন করা হবে।
কমেন্ট করুন