লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, পরিকল্পনার মাধ্যমেই বন্যা নিয়ন্ত্রন করার ব্যবস্থা করা হবে। পরিকল্পনাবিহীন জনপদ গড়ার কারনেই ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে।পানি আসা ও নামার পথ করে দিতে হবে।ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে,শহর রক্ষা ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সরকার ও বেসরকারী ভাবে প্রচুর ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে এখন পুনর্বাসন দরকার। সরকার ইতিমধ্যেই ঘরবাড়ি নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা সুনামগঞ্জ বরাদ্দ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাভুক্ত করে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন।এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পুলিশ নৌ পুলিশ,ফায়ার সার্ভিসকে শক্তিশালী করতে যা যা দরকার করা হবে। ডুবুরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। নৌকা স্পীড বোট সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যতদিন প্রয়োজন ততদিন থাকবে বন্যা দুর্গত এলাকায় থাকবে। ডাক্তার নার্স দের উপস্থিত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। করোনার সময় যেভাবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য সরকার প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছিল এবার বন্যা দুর্গতদের জন্য ও করা হবে। সরকার ও সরকারী দলের সবাই জনগণের পাশে আছে। বিএনপি জনগণের পাশে নেই। জনগণের কাছ থেকে দুরে সরে গেছে। তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে এবং অনেক দোষারোপ করে যা বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করেই দীর্ঘ স্হায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে যাতে মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে ।
৫ জুলাই দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সুনামগঞ্জ জেলার আইন শৃংখলা ও ত্রাণ কার্যক্রম সহ সার্বিক বিষয়ে স্হানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন প্রধানমন্ত্রীর কথা হলো প্রথম কাজ ত্রাণ ও পরেই নির্মাণ।সড়কের বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। সার বীজ সহ অন্যান্য উপকরণ দিতে হবে।সুনামগঞ্জের উন্নয়নের জন্য যে কোন প্রকল্প নিয়ে আসুন দ্রুত কাজ করে দেব। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা যেখানেই সড়ক ভেঙ্গে গেছে সেখানে আর সড়ক না করে ব্রীজ কালভার্ট ও উড়াল সড়ক করার। দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি হয়েছে তাই জনগন সাহায্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শওকত ওসমান, অতিরিক্ত ডিআইজি নুরুল ইসলাম, র্যাব অতিরিক্ত পরিচালক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহবুবুর রহমান, র্যাব সুনামগঞ্জ সিপিসি ৩ অধিনায়ক সিঞ্চন আহমেদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন,সহ সভাপতি ও পিপি এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন ,সিভিল সার্জন ডাঃ আহমদ হোসেন,ডিডিএলজি জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ রজত সোম মানস,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,জেল সুপার নুরশেদ আহমদ ভূইয়া, পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন,সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, সুনামগঞ্জ সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিনূর রহমান ,সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, জেলা শিল্প কলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সামছুল আবেদীন, তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রী সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের বালা কান্দা বাজারে কয়েকশ বন্যা দুর্গতদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করেন।
কমেন্ট করুন