স্বপন কুমার বর্মন, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: পনতীর্থ গঙ্গাস্নান,বারুনী মেলা ও হযরত শাহ আরেফিন (রঃ) এর বার্ষিক ওরশ মোবারক সুষ্ট ও সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা প্রসাশনের এক প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রস্তুতি মূলক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাদি উর রহিম জাদিদ। মতবিনিময় সভায় পনতীর্থ বারুনী মেলা ও শাহ আরেফিনের ওরশ মোবারক সুষ্ঠ শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তাছাড়া আগত পূর্নার্থীদের যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ, আইন শৃঙ্খলা, নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, আগামী ১৯ মার্চ রবিবার তাহিরপুর উপজেলার প্রাচীন লাউড় রাজ্যের নব গ্রাম শ্রী অদ্বৈত জন্ম ধাম পনতীর্থ বারুনী মেলায় গঙ্গাস্নান ও বারুনী মেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৯ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত শাহ আরেফিন এর ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত দুই সাধকের পূণ্য ভূমিতে প্রতি বছর হিন্দু মুসলিম লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দের সমাগমে মিলন মেলায় পরিনত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: সফর উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজ্জত আলী খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিল্পী রানী মোদক, থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাইফুল আলম, বাদাঘাট (দ) ইউপি চেয়ারম্যান মো: ছবাব মিয়া, পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান মো: সোহেল আহমদ, ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: মিলন মিয়া, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফারুক আহমদ, উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি বেনজীর আহমেদ মানিক, সাধারন সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দিকী, পনতীর্থ বারুনী মেলা পরিচালনা কমিঠির সাধারণ সম্পাদক অদ্বৈত রায়, শাহ আরেফিন ওরশ পরিচালনা কমিঠির সাধারণ সম্পাদক মো: আলম সাব্বির, প্রেস ক্লাব সভাপতি স্বপন কুমার বর্মন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ,সি,এন,জি, লেগুনাও মোটরসাইকেল যানচলাচল সমিতির প্রতিনিধিগণ,সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যানজট নিরশনের লক্ষে মেলা চলাকালীন দিনগুলোতে বড় গাড়িগুলো সুনামগঞ্জ আব্দুর জহুর সেতুর পূর্ব পাশে থাকবে এবং ছোট ছোট গাড়ি গুলো প্রবেশ করতে পারবে। তবে সব যানবাহন ওয়ান ওয়ে রাস্তা দিয়ে মেলায় যেতে হবে এবং নির্ধারিত ওয়ান ওয়ে রাস্তা দিয়ে ফেরত আসতে হবে। সুনামগঞ্জ আব্দুর জহুর সেতু থেকে এসে বিশ্ম্ভবরপুর উপজেলার কারেন্টের বাজার দিয়ে প্রবেশ করে ধনপুর ও আনন্দ বাজার হয়ে মেলা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে হবে। মেলা শেষে স্বরুপগঞ্জ-মাছিমপুর হয়ে চালবন পয়েন্ট দিয়ে ফেরত যেতে হবে। পলাশ বাজারে একটি স্টপিজ থাকবে। সুনামগঞ্জ আব্দুর জহুর সেতু থেকে মেলা পর্যন্ত মোটর সাইকেল ভাড়া জনপ্রতি ২৫০/- টাকা, দুইজনে ৫০০/- টাকা। পলাশ বাজার থেকে মেলা পর্যন্ত জনপ্রতি ২০০/- টাকা, দুইজনে ৪০০/- টাকা, মোটর সাইকেলে ২ জনের বেশি নেওয়া যাবে না। সি,এন,জি ও লেগুনা ভাড়া আব্দুর জহুর সেতু থেকে মেলা পর্যন্ত জনপ্রতি ১৭০/- টাকা এবং পলাশ বাজার থেকে মেলা পর্যন্ত ১২০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে কিংবা যাত্রিদেরকে হয়রানি করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্বান্ত নেয়া হয়। যাত্রি সাধারণের সুবিধার্থে আইনশৃঙ্খলা জোরদার করা হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সেবায় মেডিকেল টিম, ফায়র সার্ভিস সহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সভায় পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও সার্বিক সুবির্ধার্থে সকল মহলের সহযোগীতার আহবান জানানো হয়।
কমেন্ট করুন