স্বপন কুমার বর্মন,বিশ্বম্ভরপুর
ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের রাজ্যের পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হাওর নদী-নালা বেষ্ঠিত উপজেলা বিশ্বম্ভরপুর।এ উপজেলায় পর্যটন শিল্পের তেমন কোনো স্পট ছিলনা।বর্তমানে উপজেলায় হাওর বিলাশ,পাহাড় বিলাশসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাদি উর রহিম জাদিদ এর পরিকল্পনাও বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নান্দনিক উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টার।
হাওর কন্যা সুনামগঞ্জ জেলার পশ্চাৎপদ একটি উপজেলা বিশ্বম্ভরপুর। হাওর-নদীনালা ভরপুর উপজেলাটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।এ উপজেলাতে রয়েছে পাঁচটি ইউনিয়ন তন্মধ্যে অধিকাংশই ভাটি অঞ্চল। কৃষি ও মৎস্য নির্ভর এলাকাটিতে বেশিরভাগ কৃষিজীবী মানুষের বসবাস, স্বাক্ষরতার হার ও আশানুরুপ নয়। এছাড়া জীবন- যাত্রার মান নিন্মস্থরে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় তেমন বেশি পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় এখানে পর্যটন নির্ভর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। সামাজিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উদ্যোগের অভাবে এ উপজেলাতে তেমন কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। ফলে বেকার তরুণ-তরুণীদের তেমন কোন কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। তদুপরী অনেক সম্ভাবনাময় যুবক-যুবতী যে কোন উপায়ে প্রবাসে কর্মের সন্ধানে পারি দিচ্ছে। তাছাড়া পড়াশোনা শেষে খন্ডকালীন কোন আয়ের ব্যবস্থাও নেই। পাশাপাশি শরীর চর্চাসহ অন্যান্য বিনোদনের কোন সুব্যবস্থা না থাকায় অনেক শিক্ষিত বেকার তরুণ মাদকসহ নানা অসামাজিক কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। গ্রামের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাগণ উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার কারণে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে অনেক প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময়ী নারী উদ্যোক্তাও হারিয়ে যাচ্ছে।শিশুদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাহিরে কোন শিক্ষামূখর ও বিনোদনমূলক পরিবেশ না থাকায় তাদের মানসিক বিকাশ সাধনের সুযোগ হচ্ছেনা।ফলে নাচ,গান,আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হতে বঞ্চিত হচ্ছে। উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে বেকার তরুণ-তরুণীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি,শিশুদের মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধনের জন্য একটি শিক্ষা ও বিনোদনমূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে উপজেলা প্রশাসন মাল্টিপারপাস সেন্টার (A Centre to Accelerate Youth Employment,Child Development and Women Empowerment) নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন“স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে উদ্যোগটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ গ্রাম হবে শহর এটিও বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
হাওর বিলাশ, পাহাড় বিলাশসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট এবং উক্ত মাল্টিপারপাস সেন্টার প্রকল্প উদ্যোগের ফলে সৃষ্ট ফলাফল এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব পড়েছে।
১। প্রায় ৫০এর অধিক বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে ২। নারী উদ্যোক্তাদের উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩।যুবক-যুবতীদের ব্যবসার প্রসার ঘটেছে ৪। নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষদের পারিবারিকভাবে বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ৫। শিশুদের মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে ৬।দর্শনার্থী ও সেবা গ্রহীতাদের ব্যাপক আগমনের ফলে এই অঞ্চলের অনেক বেকার যুবক মোটরবাইক, ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চালিয়ে যাত্রী পরিবহণের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন।
৭।মনোরম পরিবেশ থাকার কারণে অনেক তরুণ ফটোগ্রাফারদের উপার্জনের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে।৮। উপজেলা সদরের আপামর জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ৯। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অবকাশ যাপনের একটি শিক্ষাবান্ধব ও বিনোদনমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ১০। জনসাধারণের উন্নত ও স্মার্ট সেবা গ্রহণের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে।
১। তরুণ সমাজকে মাদক,জুয়া খেলা প্রভৃতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে।উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টারটি অলাভজনক ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। এর একটি সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র এবং পরিচালনার করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি রয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত আয়কে দুটি ভাগে ভাগ করে ৫০% অর্থ রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ও ৫০% অর্থ উপজেলা শিক্ষা ফাউন্ডেশনে জমা করা হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা ফাউন্ডেশনটি ২০১২ সালে উপজেলা প্রশাসনের তত্ববধানে প্রতিষ্ঠিত হয়।এই ফাউন্ডেশন হতে উপজেলার দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়। উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টারটি একটি মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্টিত হয়েছে।এখানে আগত সেবা গ্রহিতা ও দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য পানির ফোয়ারা, ভাস্কর্য, ফুলের বাগান ও দৃষ্টি নন্দন কারুকার্য্য স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে অনেকগুলো পণ্য ও সেবাকে এই উদ্যোগের মাধ্যমে একত্রিভূত করে সহজলভ্য করা হয়েছে। নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নিশ্চিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন মাল্টিপারপাস সেন্টার নিম্নোক্ত ইউনিট সমূহ নিয়ে গঠিত:
১। কম্পিউটার ক্লাব ও ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার ২। পাবলিক লাইব্রেরি ও ল্যাংগুয়েজ ক্লাব ৩। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ডিসপ্লে সেন্টার (প্রদর্শনী কেন্দ্র) ৪। শিশু একাডেমী ৫। মিনি শিশু পার্ক ৬।বিউটি পার্লার ৭। সেলুন ৮। জিমনেসিয়াম (ব্যায়ামাগার) ৯। রেস্টুরেন্ট ১০। মার্কেট এরিয়া ১১।এ্যাম্পিথিয়েটার।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর প্রজেক্ট (TECUYB Phase-2) হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় ৫ জন বেকার যুবক-যুবতীর মাধ্যমে কম্পিউটার ক্লাব ও ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এটি তিনটি ধাপে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমত: বিভিন্ন নাগরিক সেবা প্রদান ও সাইবার ক্যাফে। দ্বিতীয়ত: বেসিক কম্পিউটার ট্রেনিং নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ব্যাচ ভিত্তিক ভর্তির মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান। তৃতীয়ত: ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ –ফ্রিল্যান্সিং-এ সফল উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার প্রতিনিয়ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে কম্পিউটার ক্লাব ও ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টারের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। পাবলিক লাইব্রেরি ও ল্যাংগুয়েজ ক্লাব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের “পাঠাগার” এর আদলে পাবলিক লাইব্রেরিটি পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বই সমূহের সন্নিবেশ করা হয়েছে। লাইব্রেরির সদস্য পদ গ্রহণ করে এখান থেকে বই পড়ার সেবা যে কেউ গ্রহণ করতে পারবে। পাঁচ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে ল্যাংগুয়েজ ক্লাবটি পরিচালিত হচ্ছে। এখানে ভর্তির মাধ্যমে ইংলিশ স্পোকেন ল্যাংগুয়েজ ও শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে । নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ডিসপ্লে সেন্টার (প্রদর্শনী কেন্দ্র) উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে যে সকল নারী উদ্যোক্তগণ হস্ত শিল্প ও পোষাক তৈরীতে ভালো কাজ করছেন তাদেরকে তালিকাভূক্ত করে তাদের পণ্যগুলো এই ডিসপ্লে সেন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট প্রদর্শিত করা হচ্ছে। ফলে তাদের পণ্যগুলো বাজারজাত করণ সহজতর হয়েছে এবং তাদের আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি নিজস্ব পণ্য সমূহের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।নারী উদ্যোক্তাগণ কয়েকজন বিক্রয়কর্মীর মাধ্যমে তাদের তৈরীকৃত পণ্য ডিসপ্লে সেন্টারে প্রদর্শন ও বিক্রয় করছেন এতে করে অনেক বেকার তরুণীদের কর্মসংস্থান হচ্ছে শিশু একাডেমী উপজেলা সদরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রম সমূহ শিশু একাডেমিতে পরিচালিত হচ্ছে।এছাড়া এই ক্লাবের প্রশিক্ষকগণ অন্যান্য আগ্রহী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ভর্তির মাধ্যমে সঙ্গীত, আবৃত্তি, নাচ ইত্যাদি শিখাচ্ছেন।তাছাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন সরকারি দিবস উদযাপনে শিশু-কিশোরদের সঙ্গীত,আবৃত্তি, নাচ, চিত্রাঙ্কন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিশু একাডেমিতে আয়োজন করা হয়ে থাকে। উপজেলা শিল্পকলা কমিটির মাধ্যমে এর কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে ইনডোর শিশু পার্ক, মিনি শিশু পার্কে রয়েছে ইনডোর গেইম, মেরিগো রাউন্ড,হর্স রাইটসহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা। শিশুরা তাদের অবসর সময়ে বিনোদনের মাধ্যমে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন হচ্ছে। তাছাড়া অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের নিয়ে ভালো সময় কাটানোর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ইনডোর শিশু পার্কটি একজন সম্ভাবনাময় আগ্রহী উদ্যোক্তার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ইনডোর শিশু পার্ক রক্ষাণা-বেক্ষণে অনেকের ৬জন কর্মীর নিয়োগের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান করা হয়েছে,বিউটি পার্লার মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন আইজিএ (বিউটিফিকেশন) প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৪জন নারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে এটি পরিচালিত হচ্ছে। এনজিও বিআরডিএস এবং উপজেলা মহিলা সংস্থার মাধ্যমে তাদেরকে অধিকতরও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করা হচ্ছে। বিউটি পার্লারে সেবা গ্রহীতাদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান পূর্বক উপজেলা প্রশাসনের সাথে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নারী উদ্যোক্তাগণ এটি পরিচালনা করছেন,সেলুন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের “ওস্তাদ-সাগরেদ” প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৪জন সম্ভাবনাময় তরুণ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হচ্ছে। এতে করে কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি উপজেলা সদরে একটি আধুনিক সেলুন স্থাপিত হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান পূর্বক উপজেলা প্রশাসনের সাথে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তাগণ এটি পরিচালনা করছেন, জিমনেসিয়াম (ব্যায়ামাগার) উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ববধানে একজন সম্ভাবনাময় ও আগ্রহী উদ্যোক্তার মাধ্যমে এটি পরিচালিত হচ্ছে। এর রক্ষণা বেক্ষণ ও পরিচালনার নিমিত্তি অনেকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে এলাকার তরুণ বেকার যুবকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন অপকর্ম সংগঠন থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। রেস্টুরেন্ট আগ্রহী তরুণ ব্যবসায়ী মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের সাথে অস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিক এটি পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে উপজেলায় আপামর জনসাধারণের একটি ভালো পরিবেশে উন্নতমানের খাবার উপভোগের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। এর রক্ষণা-বেক্ষণ ও পরিচালনার নিমিত্ত অনেকের বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মার্কেট এরিয়া উন্নতমানের কম্পিউটার সেলস ও সার্ভিস সেন্টার, শিশুদের খেলনা দোকান, লেডিস টেইলার্স ও স্কুল ইউনিফর্ম শপ, স্টেশনারী , কসমেটিক্স ও গিফট কর্ণার ইত্যাদি ৬টি দোকানের মাধ্যমে যুবক-যুবতী, নারী ও শিশুদের একটি নিরাপদ পরিবেশে পণ্য ক্রয় ও সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মিনি এ্যাম্পিথিয়েটার সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই এ্যাম্পিথিয়েটারের মাধ্যমে সুস্থ্য সাংস্কৃতিক চর্চা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন Town Centre এর আদলে একই প্লাটফর্মে পিছিয়ে থাকা নারী, শিশু ও যুবক-যুবতীদের জন্য কিছু করার মৌলিক চিন্তা-ভাবনা থেকে উপজেলা প্রশাসন মাল্টিপারপাস সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ। এখানে একই সাথে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা বান্ধব ও কর্মমূখর পরিবেশ গঠন, নারী ও শিশু বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং উদ্দেশ্য সমূহ
১। একটি কর্মমূখর ও শিক্ষা বান্ধব পরিবশে সৃষ্টি ২। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে অর্থনীতির মূলধারাতে অন্তর্ভূক্তিকরণ ৩। বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানর সুযোগ সৃষ্টি ৪। শিশুদের মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সৃষ্টি ৫। নারীর ক্ষতায়ন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা ৬। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আপামর জনসাধারণের জীবনমান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা ৭। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ বহনে সহযোগিতা করা ৭। সর্বসাধারণের বিনোদনের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা ৮। বর্তমান সরকারের গ্রাম হবে শহর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন।উপজেলার কম্পিউটার দোকানের শফিকুল ইসলাম সুজন বলেন,উপজেলা প্রশাসনের মাল্টিপারপাস সেন্টার চালু হওয়ায় উপজেলায় আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে এবং আমাদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, বেনজির আহমেদ মানিক বলেন,উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাওর বিলাশ,পাহাড় বিলাশসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট ও উপজেলা প্রশাসন মাল্টিপারপাস সেন্টার চালু হওয়ায় উপজেলাটি নান্দনিক ছোয়ায় অগ্রগতি হচ্ছে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গ্রামকে শহরে বানানোর পরিকল্পনা ও এ উপজেলায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।সার্বিক অবস্থায় বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাদি উর রহিম জাদিদ এর নিরলস প্রচেষ্ঠায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাটি দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে।
কমেন্ট করুন