৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সংবাদ শিরোনামঃ
সুনামগঞ্জ জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান, পিপিএম আওয়ামীলীগের রাজনীতি করা এ দেশের তৌহিদি ছাত্রজনতা আর মেনে নিবে না সুনামগঞ্জের গণসমাবেশে …..মাওলানা মামুনুল হক যাদুকাটা নদীর পাড় রক্ষায় মতবিনিময় সভা তাহিরপুর থানার ওসি মাইনুদ্দিনকে  প্রত্যাহারের দাবীতে সুনামগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মানববন্ধন দুর্বৃত্তদের বাঁধায় যাদুকাটা বালুমহালে রয়্যালটি আদায় বন্ধ দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক সংস্কার, পরিচ্ছন্নতা ও বাজার মনিটরিং পদত্যাগ করলেন ভিসি ফরিদ মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে আলোচনা,র‍্যালী ও পুরস্কার বিতরণ। তিন দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ, জনদুর্ভোগ চরমে।  পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজ অভিন্ন, জনগণের সেবা করাই মূল লক্ষ্য- সুনামগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার।  প্রবল বেগে ঢুকছে ঢলের পানি, তাহিরপুরে আবারো বন্যা একজন উকিল মুন্সি এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে আওয়ামীলীগ সরকার – জাহাঙ্গীর কবির নানক তাহিরপুরে আওয়ামীলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এমপি রনজিত সরকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ব তেঘরিয়া বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরণ।  বিশ্বম্ভরপুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রেস ব্রিফিং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে চপল পুনরায় জয়ী। 
তিন দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ, জনদুর্ভোগ চরমে। 

তিন দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ, জনদুর্ভোগ চরমে। 

লতিফুর রহমান রাজু:- সুনামগঞ্জ: সীমান্তের ওপারের  মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির অবিরাম ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল আবার ও প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুনামগঞ্জ সদরের সাথে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কিছু কিছু বাড়ি ঘর,  সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আবার ও মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বর্ষণের ফলে  সুনামগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি শুক্রবার সকালে  বিপদসীমার  ৩০   সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়।অবশ্য বিকালে কমে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫৫ মিলিমিটার। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৬০ মিলিমিটার।
এতে সুরমা নদী তীরবর্তী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় পানি প্রবেশ করছে।  শহরের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত।
সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া, বড়পাড়া,উত্তর আরপিন নগর, বাজার, কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, নবীনগর সুলতানপুর, ধোপাকালী সহ অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত লোকজন ইতিমধ্যেই অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
সীমান্তের ওপারে মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী দিয়ে পানি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে নামছে। সেইসঙ্গে আসছে পাহাড়ি ঢলের পানি। দোয়ারাবাজারের লক্ষ্মীপুরের খাসিয়ামারা নদী, চিলাই নদীর পানি বাড়ছে। তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা, রক্তি, মাহারাম, বৌলাই, পাটলাই নদী সহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত ১৭  জুন থেকে সৃষ্ট বন্যার রেশ কাটাতে না কাটাতে আবার ও ঢল নামায় মানুষ এক অজানা আতঙ্কে রয়েছেন।
গত ১৭ জুন ঈদের দিন সকাল বেলা সর্ব প্রথম পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। ঐদিন সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়। আবার গত ১ জুলাই দ্বিতীয় বার বন্যা কবলিত হয় ঐ সময় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়। ১২ জুলাই শুক্রবার ভোর রাত থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত ও ঢলের কারনে হু হু করে পানি বেড়ে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়। ফলে তিন দফা বন্যার কবলে পড়ে সুনামগঞ্জ বাসী । ফলে জনজীবন চরম দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। গত দুই বারের বন্যার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবার ও ঘরবাড়ি,দোকান পাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়ক প্লাবিত হলে মানুষ সীমাহীন কষ্টের সম্মুখীন হন। বিশেষ করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে যেতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। সরকারী সাহায্য সহায়তা যা দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন আনোয়ার পুর সড়ক প্লাবিত। শক্তি য়ার খলা সড়ক ও প্লাবিত। দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দা নাইম জানান তার ইউনিয়নের কিছু  গ্রাম প্লাবিত। তাহিরপুর উপজেলার কামাল হোসেন জানান, আনোয়ার পুর থেকে বীর নগর ব্রীজ পর্যন্ত প্রচুর পানি। অন্যান্য নিম্নাঞ্চল ও প্লাবিত।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন বন্যা মোকাবিলার জন্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যেই  সকল ইউএনও দের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন





পুরাতন খবর খুঁজুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ১:৩৫)
  • ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)