সোহেল আহমদ সাজু -তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন চোখ উঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।চোখ উঠার কারনে অনেকের চোখ লাল হয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে।আবার কারো কারো চোখের পাতা ফুলে চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে। অনেকেই আবার চোখের যন্ত্রনা অস্থির হয়ে পড়েছে।চোখ উঠার কারনে অনেক নারী পুরুষকে চোখে কালো চশমা পরিধান করে চলাচল করতে দেখা গেছে।বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসীতে গিয়ে রোগীরা চোখ উঠার ঔষধ ও অয়েনমেন্ট খোঁজে পাচ্ছেন না। বাজারে ফার্মেসী গুলোতে চোখ উঠা রোগের ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে।বাজারে চোখ উঠা রোগের ঔষধ সংকটের কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলার বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের টুম্পা ফার্মেসীর মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ হারুন জানান, প্রায় ১৫ দিন যাবৎ চোখের রোগী প্রচুর পরিমানে আসছে।তিনি বলেন শুধু তাহিরপুর নয়, সারা বাংলাদেশেই এখন চোখের রোগ প্রকোপ বিস্তার করছে। আর ঔষধ কোম্পানী গুলো সাধারণত চোখের রোগের ঔষধ কম উৎপাদন করে থাকে। কারন ওই জাতীয় ঔষধ কম চলে, অনেক সময় দেখা যায় ফার্মেসীতে থাকতে থাকতে মেয়াদ চলে যায়। আর সারা বাংলাদেশে একযোগে রোগটি দেখা দেয়ার কারনে সব ফার্মেসীর মালিকরা এক সাথে অর্ডার করতে শুরু করায় সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপসহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মোঃ মহি উদ্দিন বিপ্লব বলেন, চোখ উঠা একটি কনজান্কটিভাইটিস ভাইরাস জনিত রোগ।এ রোগের প্রথম কাজ হচ্ছে চোখে পর্যাপ্ত পরিমান পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে। তার পরও যদি কাজ না হয়,তাহলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।তিনি বলেন,বেশ কিছু দিন যাবৎ শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্বরা পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।প্রতিদিন অনেক রোগী আসছে আমাদের হাসপাতালে।তিনি আরো বলেন আমাদের হাসপাতালে আর বেশী চোখের ড্রপ নেই।যা আছে মনে হয় কয়েক দিন চলতে পারে।
কমেন্ট করুন