শওকত হাসান,তাহিরপুরঃ-পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালু এসে ছড়াগুলো ভরে গিয়ে চাষাবাদের জমির সমান্তরাল হয়ে গেছে। ছড়া দিয়ে পানি না নামায় কৃষকরা প্রায় ৫শ একর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। এমন দুর্ভোগে পড়েছেন তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই ও চানপুর গ্রামের দুই শতাধিক কৃষক। এ অবস্থা দূর করতে সরকারি কোনো ধরনের বরাদ্দ না পেয়ে উত্তর বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সহায়তায় দুই গ্রামের কৃষকরা হাঁড়িভাঙ্গা ছড়াটি স্বেচ্ছাশ্রমে খননের কাজ শুরু করেছেন।
কৃষকরা জানান, সরকারিভাবে ছড়াগুলো খননের উদ্যোগ নিলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হতেন।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে ঢলের সঙ্গে বালু, পাথর এসে ক্রমে ছড়াগুলো ভরে গেছে। এখন উত্তর বড়দল ইউনিয়নের পাহাড়ি নয়াছড়া, হাঁড়িভাঙ্গা ছড়ায় আর পানি নেই। এ অবস্থায় কৃষকরা আমন ধান চাষ করতে পারছেন না। তাই পানির জন্য গ্রামবাসী গতকাল সোমবার থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ছড়া খনন করছেন। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি ৫০ জন শ্রমিককে কাজে লাগিয়েছেন।
তাহিরপুর ইউএনও রায়হান কবীর বলেন, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের নয়াছড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ছড়ার বালু সরানোর বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিলামে বালু তুলে বিক্রি করা হবে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, নয়াছড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ছড়া খননে শিগগিরই সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কমেন্ট করুন